নাম থেকে ‘কাটার মাস্টার’ মুছে দিচ্ছেন মোস্তাফিজ !
মোস্তাফিজ ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অভিষিক্ত হয়েছিলেন অনেক রেকর্ড গড়ে। হইচই ফেলে দিয়ে। বিধ্বংসী কাটারের কারণে ‘কাটার মাস্টার’ নাম হয়ে গিয়েছিল। কাটারের সেই ধার না কমলেও সময়ের সঙ্গে তার বোলিং পড়ে নিয়েছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানরা। লেগ কাটারে অবশ্য এখনো চোখের পলকে কখনো বিভ্রান্ত করেন প্রতিপক্ষকে।
২০১৬ সালে কাঁধের ইনজুরি, সেখানে অপারেশনের পর শুরুর ভয়ংকর রূপে দেখা যাচ্ছে না মোস্তাফিজকে। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে মাত্র ৮ ইনিংসে ২০ উইকেট পেয়ে বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে রেকর্ড ঠিকই করেছেন। তবে ওভারপ্রতি ৬.৭০ রান খরচা মোস্তাফিজের নামের সাথে মানায় না। ২০১৯ সালে ১৬ ম্যাচে ৩৪ উইকেট পেয়েও খরুচে বোলারের অপবাদ মাখিয়েছেন গায়ে (ওভারপ্রতি ৬.৭৭ রান)।
সময় গড়াতে গড়াতে মোস্তাফিজ যখন অফ সাইডে কাটার দিতেন, তখন ব্যাটসম্যানরা তাকে অফেই খেলে দিতো। যার কারণে উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না মোস্তাফিজ। আর তাইতো নিজের বোলিংয়ে নতুন অস্ত্র যোগ করেন। সেটা হচ্ছে বাউন্সার। যেটা দিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে মোটামুটি সফল ছিলেন।
কিন্তু চলতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নতুন মোস্তাফিজকে দেখতে পাচ্ছে ক্রিকেট অনুরাগীরা। আগে তাকে ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা ভাবতো বল অফ সাইডে বের হয়ে যাওয়া নিয়ে। কিন্তু এই সিরিজে মোস্তাফিজ ইনসুইং করে বল ভেতরে ঢুকাচ্ছেন। এতেও ভাবতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। যেখানে সফলও হয়েছেন মোস্তাফিজ।
এখন মোস্তাফিজের একই জায়গা থেকে বলটা ভেতরেও আসছে। থাকছে এলবিডব্লু ও বোল্ড হওয়ার ভয়। আগে শুধু মোস্তাফিজের বেরিয়ে যাওয়া বল নিয়ে ভাবলেই চলত। এখন ভাবতে হচ্ছে ভিন্নভাবে। আগে যেখানে শুধু কট বিহাইন্ডের ভয় থাকত, এখন সেখানে যোগ হচ্ছে অন্য দুই আউটের ভয়ও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ওপেনার সুনীল অ্যামব্রিস আউট হন লেংথ থেকে ভেতরে আসা বলে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একই জায়গা থেকে বেরিয়ে যাওয়া বলে পয়েন্টে ক্যাচ আউট সেই অ্যামব্রিসই। তিনি ভেবেছিলেন আগের ম্যাচের মতোই বলটা আসবে ভেতরে। যার কারণে বল বুঝে উঠার আগেই ক্যাচ দিয়ে বসেন। এতে এখন নামের পাশে শুধু কাটার মাস্টার খ্যাতি থাকছে না।