বস্তির জমি সরকারের, তাহলে প্রতিমাসে বিনা পুঁজিতে মাসোহারা নেয় কারা: প্রশ্ন গয়েশ্বরের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এর সঙ্গে কারা জড়িত? সরকার ইচ্ছে করলেই এদের খুঁজে বের করতে পারে কিন্তু সেই পারার কাজটা সরকার করে না। স্বাধীন দেশে কেন এই মানুষগুলো বস্তিতে থাকবে? অবিলম্বে এই বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শতভাগ ব্যক্তিতন্ত্রের ওপর দেশ চলছে। বিজয়ের এই মাসে আমাদের আহ্বান ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। গণতন্ত্র না থাকলে সেখানে আইনের শাসন থাকে না। এই অবস্থায় দেশের কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজস্ব চিন্তা-ধারা ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, জনগণ সেখান থেকে কোনো সুফল পায় না। জনগণ নানাভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হয়।
তিনি বলেন, শীত আসলেই বস্তিতে আগুন লাগে কেন? সরকারকে বলব, নিরপেক্ষভাবে গুরুত্ব দিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তদন্ত করুন।
বৃহস্পতিবার সম্প্রতি বাউনিয়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পবিবারকে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম মোয়াজ্জেম হোসেনের উদ্যোগে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ৭৫টি পারিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়।