২৫০ বছরে প্রথমবার আলোচনায় ইলেক্টোরাল কলেজ
যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে কখনও এমন দিন আসেনি। দেশটির ইলেক্টোরাল ভোটাররা, যারা ইলেক্টোরাল কলেজ বলে পরিচিত, তারা কখনই পপুলার ভোটের ব্যায় ঘটাননা। এই প্রথমবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে, নিজ রাজ্যের পপুলার ভোট অবহেলা করে তারা নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে থাকবেন। মার্কিন সংবিধান তাদের আলঙ্করিক এক অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকারের দিকেই তাকিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ইলেক্টোরাল কলেজ জনমতকে অবহেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তা ট্রাম্পকে অনেকটাই রাজসিক ক্ষমতা এনে দেবে। যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার পর প্রথমবার দেখবে এক ধরণের স্বৈরতন্ত্রের উত্থান। ট্রাম্প নিয়মিতোই মার্কিন গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি মানতে অস্বীকৃতী জানাচ্ছেন। রিপাবলিকান রাজ্যগুলোকে ট্রাম্প রীতিমতো চাপ দিয়েছেন, এমন ভোটার নিয়োগ দেবার জন্য যারা তাকে সমর্থন দেবেন।
নির্বাচনে জিততে হলে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট প্রয়োজন। সব নিয়ম মতো হলে জো বাইডেন পাবেন ৩০৬ ভোট। এর আগে কখনই নির্বাচনের পরে হিসেবকৃত ইলেক্টোরাল কলেজে গরমিল হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে একটি রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি পপুলার ভোট পান, সে রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল কলেজ সেই প্রার্থীই পান।
তবে, পপুলার ভোট বেশি পাওয়া প্রার্থীকে ভোট দেবার কোনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। এই ভোট দেয়া হয় ঐতিহ্য ভেঙে। সাংবিধানিক নিয়ম না হওয়ায় কেউ চাইলেই এটি ভাঙতে পারেন। তবে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল যুক্তরাষ্ট্রে যা কখনই হয়নি, সেটির দিকেই তাকিয়ে আছেন ট্রাম্প।