সারাদেশে লকডাউনে মানুষ যখন ঘরবন্দি ছিল, ঠিক তখনই কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ফিরে এসেছিল ৩০ বছর আগের অবিশ্বাস্য দৃশ্য।
বিশ্বময় করোনার তাণ্ডবে মানুষ যখন অসহায় হয়ে ঘরে বন্দি ছিল, প্রকৃতি তখন ফেলেছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস।
সমুদ্রের নীল জলে উচ্ছ্বসিত ছিল প্রাণিকুল। বাতাসে দ্রুত কমেছিল দূষণ। পাহাড়েও বইছিল নির্মল সমীরণ।
আকাশে ছিল না কার্বন, ছিল মেঘমুক্ত খোলা আকাশ, গাছে গাছে ফুল ফুটছে- প্রকৃতি যেন বহুকাল পরে আপন আলোয় ফিরেছিল।
এরই মধ্যে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় কক্সবাজার সৈকত ও সেখানকার অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়।
তবে বিভাগীয় শহরের বাইরে যেসব জেলায় এই রোগের সংক্রমণ বেশি তার মধ্যে কক্সবাজার একটি।
প্রায় চার হাজার সংক্রমিত ব্যক্তি এই জেলায় শনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজারের কয়েকটি এলাকাকে রেড জোনও ঘোষণা করা হয়েছিল।
পুরনো রূপে ফিরেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। চারদিকে এখন বিপুলসংখ্যক পর্যটকের ভিড়। সাগরপাড়ে তিলধারণের জায়গা যেন নেই!
দীর্ঘ সময় পর সৈকতে আসতে পেরে খুশি ভ্রমণপিপাসুরা। ওয়াটার বাইকিংয়ে জলকেলিতে মাতে তরুণ-তরুণীরা। বালিয়াড়িতে ঘোড়ায় চড়ে বেড়ান কেউ কেউ।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। ফলে কক্সবাজারে ফের খুলেছে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও বার্মিজ দোকান।
তবে বেড়াতে এসে বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহারের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।