সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তে ১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ’র পরিকল্পনা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জবি) সাধারন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২০১৯ ও ২০২০ সালের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে জানিয়েছেন জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান।
তিনি বলেন, পরীক্ষায় পাশ-ফেল থাকছেনা, শুণ্য-১০০ নম্বরপ্রাপ্তদের তালিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ভর্তি করতে পারবে। করোনার মধ্যে পরীক্ষা নয়
শনিবার সকল উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জবি উপাচার্য বলেন, নিজ নিজ বিভাগ থেকে পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেক্ষেত্রে আসন নির্ধারণ করে রাখবে। যেমন ইসলামিক স্টাডিজ’এ ১০০ সিট থাকলে তার মধ্যে আর্টস’র জন্য ৮০, কমার্স ১০ ও সাইন্সের জন্য ১০টি আসন থাকে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে নূন্যতম নম্বর নির্ধারণ থাকতে পারে।
আবেদন যোগ্যতা হিসেবে আর্টস শিক্ষার্থীদের এসএসসি এবং এইচএসসি’তে মোট পয়েন্ট ৬, কমার্সে ৬.৫ এবং সাইন্সে ৭ থাকতে হবে। সকল ক্ষেত্রেই উভয় পরীক্ষায় ৩ পয়েন্ট এর কম থাকতে পারবে না।
পরীক্ষার মানবন্টনে, আর্টস শিক্ষার্থীদের বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ ও আইসিটি ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। কমার্সে একাউন্টিং-২৫, বিজনেজ অর্গানাইজেশন এন্ড মেনেজম্যান্ট-২৫, ভাষা জ্ঞান-২৫, বাংলা-১৩, ইংরেজি-১২ ও আইসিটি-২৫ নম্বরের পরীক্ষা। সাইন্সের ক্ষেত্রে ভাষা-২০, বাংলা-১০, ইংরেজি-১০, রসায়ন-২০, পদার্থ-২০, আইসিটি/ম্যাথ/বাইলোজি এই তিনটি থেকে যে কোন দুটিতে ২০ করে ৪০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।