শিশুদের জন্য নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে কোভিড-১৯। করোনা আক্রান্ত প্রতি ৯ জনের মধ্যেই একজন শিশু।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ।
করোনার অব্যাহত সংক্রমণ ও দ্বিতীয় বছরেও এর ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করে শিশু-কিশোরদের করোনা থেকে দূরে রাখতে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি।
৮৭টি দেশের আক্রান্ত ২ কোটি ৫৭ লাখ মানুষের মধ্যে ১১ শতাংশই শিশু-কিশোর।
এক প্রতিবেদনে করোনার অব্যাহত সংক্রমণে শিশুদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবাপ্রাপ্তিতে কোভিড-১৯ শিশুদের জন্য মারাত্মক হুমকি ও বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে।
করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে হাসপাতালে বহির্বিভাগে শৈশবকালীন সংক্রামক রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি এক-তৃতীয়াংশে নিয়মিত টিকাদান কমে গেছে।
এ সংকট যত দীর্ঘ হবে, শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সামগ্রিক কল্যাণের ওপর এর প্রভাব তত গভীর হবে। পুরো একটি প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এদিকে ইউরোপে করোনা পরিস্থিতি আবারও অবনতির দিকে যাচ্ছে।
ইউরোপজুড়ে প্রতি ১৭ সেকেন্ডে একজন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ।
চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। সামনের ৬ মাস আরও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন ধাক্কা এড়াতে লকডাউন শিথিলে তাড়াহুড়ো করতেও নিষেধ করেছে সংস্থাটি।
সংস্থাটির ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুজ জানান, করোনা মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহারের ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই ধীরে ধীরে বিধি নিষেধ শিথিল করা উচিত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সতর্কতার সাথে লকডাউন শিথিলের আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান নির্বাহী।