বার্সার মাঠে রিয়ালের দাপুটে জয়
স্পোর্টস ডেস্ক:
নতুন মৌসুমের শুরু থেকেই চেনা ছন্দে ছিল না স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। তার উপর এল ক্লাসিকোর আগে হেরে বসে টানা দুই ম্যাচ। কিন্তু চির প্রতিদ্ব›দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামতেই যেন বদলে গেল লস বøাঙ্কোসরা। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জিতে ফিরল প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে।
এ ম্যাচে দুই তরুণের ওপর নজর ছিল। নতুন যুগের সূচনা নাকি আনসু ফাতি ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে দিয়ে হবে। একুশ শতকে ক্লাসিকোর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ফাতি, আর সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা ভিনিসিয়ুস। কিন্তু ভিনিসিয়ুসের সে গর্বটা ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই কেড়ে নিলেন ফাতি। প্রায় মাঝমাঠে নেমে দারুণ এক লব করেছিলেন মেসি।
রিয়াল রক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দেখল কীভাবে তাদের অতিক্রম করে গেলেন মাত্রই চোট কাটিয়ে ফেরা জর্দি আলবা। তাঁর মাপা পাস থেকে অনায়াসে বল জালে পাঠিয়েছেন ফাতি।
শনিবার ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলটির পক্ষে একটি করে গোল করেছেন ফেদেরিকো ভালভার্দে, সার্জিও রামোস ও লুকা মদ্রিচ।
দুই দলের ফরমেশন ও খেলোয়াড় নির্বাচনই নিশ্চিত করেছে এমন জমজমাট শুরুর। গত বছরই সবচেয়ে বয়স্ক দল নিয়ে মাঠে নামার রেকর্ড গড়া বার্সেলোনা একাদশের গড় বয়স ছিল ২৬, ওদিকে রিয়ালের গড় বয়সটাও ছিল ২৭। তাই প্রথমার্ধে প্রাণ উজাড় করে খেলতে সমস্যা হয়নি কোনো দলের। মৌসুমের শুরু থেকেই ৪-২-৩-১ ফরমেশনে বার্সেলোনাকে খেলিয়েছেন কোচ রোনাল্ড কোমান। কিন্তু ক্লাসিকোতে ফরমেশন বদলে ফেলেছেন কোমান। কুতিনিওকে বাঁদিকে পাঠিয়ে স্ট্রাইকারের ভূমিকায় পাঠানো হয়েছিল ফাতিকে। আর ৪-৪-২ ফরমেশনে মেসিকে নাম্বার টেনের ভূমিকায় পাঠিয়েছিলেন কোমান। ডানদিকে একটু নিচের দিকে দায়িত্বটা ছিল ১৭ বছর বয়সী পেদ্রির।
জিনেদিন জিদান সে তুলনায় খুব বেশি চমক দেখাননি। প্রিয় ৪-৩-৩ ফরমেশনেই নামিয়েছেন দলকে। আক্রমণে বেনজেমা-ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ছিলেন মার্কো আসেনসিও। আর মাঝমাঠে ভালভার্দের সঙ্গে ক্রুস ও কাসেমিরো।
এদিন লুকা মদ্রিচকে শুরুর একাদশে নামাননি জিদান। ৬৯ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলদাতা ভালভার্দের বদলি হিসেবে মদ্রিচকে নামান তিনি। শেষ পর্যন্ত মদ্রিচের গতির কাছেই যেন হার মানে বার্সা।