বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা চুক্তি সই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকের আগেই বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দু’দেশের সংশ্লিষ্টখাতের প্রতিনিধিরা নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিগুলোতে স্বাক্ষর করেন।
দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিইও ফোরাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাইড্রোকার্বন বিষয়ে সহযোগিতা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাতি সংরক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও ভারতের জাতীয় জাদুঘর মধ্যে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও বরিশালের স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি।
বেলা সাড়ে ১১টায় দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হবে। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক হবে এটি। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির ১৭ মার্চ ঢাকা আসার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভারতের নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠকের পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলিদাবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। চিলাহাটি বর্ডার ট্রেন চলাচল শুরু হলে বাংলাদেশের মংলা পোর্ট এবং উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম আরও জোরদার হবে। একইসঙ্গে ঢাকাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ সম্ভব হবে।