বাংলাদেশের বোলিং তোপে ১৪৮ রানেই গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
নিজেদের ক্রিকেটিও মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক জন ছাড়া কেউ নিজেদের নামের পাশে পাস নম্বর যোগ করতে পারে নি। রোভম্যান পাওয়েল দলের পক্ষে ৪১ রানে সবার থেকে এগিয়ে ছিলেন।
মাঘের শীতেও টাইগারদের বোলিং সামলাতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে অতিথিদের। প্রথম ম্যাচের ১২২ রান টপকাতেও হিমসিম খেতে হয়েছে পুরো দলকে। যখন ক্যারিবিয়দের ৯ উইকেট পতন হয় তখন স্কোর বোর্ডে রান ছিল ১২০।
শেষ ব্যাটসম্যান আকিল হোসেনকে সাথে নিয়ে রোভম্যান পাওয়েল ২৭ জুটি গড়ে প্রথম দিনের স্কোর অতিক্রম করে দলের স্কোর কিছুটা সমৃদ্ধ করেন। মেহেদী হাসান মিরাজ ৪, সাকিব ২, মোস্তাফিজুর ২, ও হাসান মাহামুদ ১ টি উইকেট নিজেদের নামের পাশে যোগ করেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও উইকেট তুলতে ব্যর্থ রুবেল হোসেন।
ক্যারিবিয়দের দলীয় ১০ রানের মাথায় বাংলাদেশের পক্ষে মোস্তাফিজুর প্রথম আঘাত হানে। উইকেট পতনের সেই মহামরি থেকে নিজেদের কোন ভ্যাকসিনেই রক্ষা করতে পারে নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কে কার আগে কি ভাবে সাজ ঘরে ফিরবে নিজেদের ভিতর ছিল সেই প্রতিযোগীতা।
৪৩.৪ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজ সংরক্ষণ করেন ১৪৮ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিধান্ত নেন অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ।
কাগজে কলমে দূর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিজেদের করে নিতে মরিয়া টিম টাইগার।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাশ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হাসান ও হাসান মাহমুদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: জেসন মোহাম্মদ, সুনীল অ্যামব্রিস, এনক্রুমা বোনার, জশুয়া ডা সিলভা, জাহমার হ্যামিল্টন, কিজর্ন ওটলে, আলজারি জোসেফ, আন্দ্রে ম্যাকক্যার্থি, রোভম্যান পাওয়েল, রেমন রেইফার।