বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার অনুপ্রেরণা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য।বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বাঙালির অবিনাশী চেতনার মূর্ত প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার অনুপ্রেরণা। আমাদের সকল সৎ কর্মে এগিয়ে যাবার প্রেরণার প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টিকারীরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা বাংলাদেশের স্বাধীন সত্তা নিয়ে বিতর্ক করছেন। এই বিষয় নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক সৃষ্টিকারীদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে।
শুক্রবার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর সম্মেলন কক্ষে বিএলআরআই-এর দুই দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এদেশের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানে প্রত্যেকের মত ও বিশ্বাস প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এদেশ হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলের। এদেশে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। যার যার বিশ্বাস সে সে মেনে চলবে। এ বিশ্বাসে কাউকে জোর করে অন্য ধারণা দেয়ার সুযোগ নেই। আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করতে হবে।
দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় খাতের একটি প্রাণিসম্পদ উল্লেখ করে এসময় শ ম রেজাউল করিম বলেন, এ খাতে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন ধারণা তৈরি হচ্ছে এবং সেটাকে আমরা কাজে লাগাচ্ছি। গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন জাত সৃষ্টি করতে পারছি। এর মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি-আমিষের চাহিদা মেটানোসহ বেকারত্ব দূর করা যাবে। খাদ্যের একটা বড় অংশ আসে প্রাণিসম্পদ খাত থেকে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল করা, উদ্যোক্তা তৈরি ও বেকারত্ব দূর করার বড় একটি ক্ষেত্রও এই প্রাণিসম্পদ।
বিএলআরআই-এর বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, দেশের মেধাবী গবেষকরা গবেষণালব্ধ ফলাফল দিয়ে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিএলআরআই এর নতুন নতুন গবেষণা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করছে। এই গবেষণা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগছে। প্রাণিসম্পদ খাতকে সম্প্রসারিত করার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে সকল এলাকায় প্রাণিসম্পদ খাত সংকুচিত হয়ে গেছে সেসব এলাকায় প্রাণিসম্পদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে। গবেষণা ক্ষেত্রে মেধাকে আরো বেশি সন্নিবেশিত করতে হবে। তাই আশা করছি আপনাদের গবেষণা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।”