নাছোড়বান্দা ট্রাম্প পরাজয় মেনে না নেয়ায় ক্ষুদ্ধ রিপাবলিকান নেতারা
সাধারণত নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে তার উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠান। যাতে প্রবেশাধিকার পান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয় মানতে অস্বীকৃতি জানানোয় পররাষ্ট্রদপ্তরে প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন না বাইডেন।
বিদেশী নেতারা বাইডেনের কাছে বার্তা পাঠাতে ওবামা প্রশাসনের সাবেক কূটনৈতিকদের দ্বারস্ত হচ্ছেন। বাইডেনকে প্রেসিডেন্টের প্রাত্যহিক নিরাপত্তা ব্রিফিংয়েও প্রবেশাধিকার দেয়া হচ্ছে না।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মিত্র সিনেটের নেতা মিচ ম্যাককলিন, অ্যাটর্নী জেনারেল উইলিয়াম ব্লারসহ কয়েকজন বাইডেনের বিজয় প্রত্যাখ্যান করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বিতর্ক উস্কে দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় ট্রানজিশন টিমের সঙ্গে সমন্বয় করা হবো।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ক্ষুদ্ধ অন্যা রিপাবলিকান নেতারা। ওকালহামার রিপাবলিকান সিনেটর জেমস ল্যাংকফোর্ড স্থানীয় সময় বুধবার বলেছেন, ‘যদি ট্রাম্প প্রশাসন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ডেইলি প্রেসিডেন্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্রিফিংয়ে প্রবেশাধিকার না দেয় তবে তিনি শুক্রবার পদত্যাগ করবেন।’
ম্যাসাচুসেটসের রিপাবলিকান গর্ভনর শার্লি বেকার বলেন,‘প্রেসিডেন্ট, তার টিম ও ওয়াশিংটনের কয়েকজন রিপাবলিকান ভিত্তিহীন দাবী করছেন। এটি মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্কর।’
মেরিল্যান্ডের রিপাবলিকান গর্ভনর ল্যারি লোগান বলেন, ‘মহামারী ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের এই সময় ট্রানজিশন দলের সঙ্গে সমন্বয় না করা আরেক বিপর্যয়।’
জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান ও সাবেক মার্কিন সিনেটর ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী উইলিয়াম কোহেন বলেন ‘ট্রাম্পের ব্যবহার গণতন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি একনায়কতান্ত্রিক।’
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট শিবিরের নির্বাচনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটে অনিয়মের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি।’