নতুন করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হার ৭০ শতাংশ, আরো বেশি সতর্ক আতঙ্কিত নয়: বিশেষজ্ঞ অভিমত
যুক্তরাজে করোনা ভাইরাসের যে নতুন গতি এটি সেপ্টেম্বর ২০ তারিখে ধরা পরে। গবেষকরা বলছেন, ভাইরাসটির চরিত্র আগের ভাইরাসের তুলনায় ৭০ শতাংশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এবিষয়ে মঙ্গলবার কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে যুক্তরাজের সঙ্গে যাতায়ত বন্ধ করার কোনো সিন্ধান্ত হয়নি তবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে পুরো বিষয়টিকে। পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, যেটি বলা হচ্ছে এটা কোনো পাবলিশ ডাটা নয়। এটার কারণে রোগের ভোগান্তির বাড়বে এরও কোনো তথ্য নেই। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের বেশি ধরনের সতর্ক হতে হবে কিন্তু আতঙ্কিত নয়।
তিনি বলেন, এসময়ে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে সাময়িকভাবে ইংল্যান্ড থেকে আসা বিমান গুলো বন্ধ করে দেওয়া। যদি কোনো কারণে বন্ধ করে দেওয়া নাও যায় তাহলে কিছু বাড়তি স্বাস্থ্যবিধির ব্যবস্থা করা। একটি হলো করোনা নেগেটিভ সনদ নিশ্চিতের সঙ্গে হোম কোরোন্টাইন। এখানে কোনো শীতিলতা করা যাবে না।
আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মিত প্রেস কনফারেন্সর প্রশ্ন উত্তরে তারা বলেছে, এখনো তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এটা যে রোগীর ভোগান্তি বাড়িয়ে দিবে বা লক্ষন গুলো খারাপ হবে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিংবা কোনো টিকা কাজ করবে না এরও কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিন্তু এখনো বলেনি বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌ বন্দর গুলো আমরা যেভাবে নিয়ন্ত্রন করি ইউরোপে সেটি একবারে নেই।
অনুজীব বিজ্ঞানী ড. সমীর কুমার সাহা বলেন, করোনার ভাইরাসটা প্রথম যখন এখানে আসে তখন শুধু ‘ডি’ পেয়েছিলাম। তারপর থেকে পরিবর্তন হয়ে ‘জি’ হলো। আমাদের এখানে মূলত ভাইরাসটা ‘ডি’ থেকে পরিবর্তন হয়ে ‘জি’ তে চলে গেছে। এখন ভয় যেটা হচ্ছে এখনো কেউ প্রমাণ করতে পারেনি ভ্যকসিনের উপর প্রভাব পরবে। যেহেতু স্পাইকের উপর মিউটেশন হয়েছে। সুতরাং সম্ভাবনা যে নেই সেটাও বলা যাবে না। যদি হয়ও তবে পুরোটা যে অকার্যকর হবে তাও কিন্তু না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (রোগ নিয়ন্ত্রন) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য থেকে লোকজন এ মুর্হুতে বন্ধ করা উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে ইংল্যান্ডের কমিউনিটি বাংলাদেশে যাতায়ত করে। যে ঝুঁকিটি শুরুর দিকে বাংলাদেশে হয়েছিলো।
কারণ আমাদের যে ব্যবস্থা গুলো আছে সে গুলোও এতোটা কার্যকরি না। একদিকে আমরা শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক পরা এগুলো মানছি না। অন্যদিকে জীবন যতোটা স্বাভাবিক করা যায় সেটা আমারা করেছি। একমাত্র স্কুল-কলেজ বন্ধ ছাড়া। আইসোলেশন কোয়ারেন্টাইন টেস্টিং এ জায়গা গুলোতে যে সমস্যা গুলো ছিলো এগুলো এখনো সমস্যা হয়নি।