তাইওয়ানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানান, আমেরিকান ও তাইওয়ানের কূটনৈতিক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগে দশকব্যাপী যে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা জারি ছিলো তা তুলে নেয়া হয়েছে। পম্পেও আরো বলেন, ‘গণতান্ত্রিক তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের আস্থাভাজন সহযোগী, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো বিধি-নিষেধ থাকা উচিত নয়।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতি বলা হয়, ‘তাইওয়ানের মালিকানা দাবী করা চীন সরকারকে খুশি করতে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিলো। এখন থেকে এটি অকার্যকর।’
আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের অভিষেকের পূর্বে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া এই সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে পুনরায় উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত আগস্টে দ্বীপটির কয়েক দশকের ইতিহাসে শীর্ষ কোনো মার্কিন রাজনীতিবিদ হিসেবে তাইওয়ানে বৈঠক করেন মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের এক চীন নীতির প্রতি সম্মান বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে। যদিও দ্বীপটির সঙ্গে দেশটির কোনো আনুষ্ঠানিক সামরিক চুক্তি নেই।
১৯৪০ সালে গৃহযুদ্ধের সময় বিভক্ত হয়ে যায় চীন ও তাইওয়ান। তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন কিন্তু তাইওয়ানের নেতারা এটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবী করেন। বেইজিং দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ান নিজেদের যোগাযোগ বাড়িয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়া দেশটির সরকারের সঙ্গে অনেক দেশেরই শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে।