ঢাকার চলচ্চিত্রে ‘খান’ আধিপত্যের নেপথ্যে
ঢাকার চলচ্চিত্রে মুম্বাইয়ের তিন খানের অনুকরণে অনেকেরই নাম হয়েছে ‘খান’ শব্দটি যোগ করে। নির্মাতারা মনে করেন সালমান খান, আমীর খান এবং শাহরুখ খানের মতো করে এদেশে যদি নামকরণ করা হয় তাহলে তারাও সফল হবেন। সেই ধারণার প্রতিভূ হয়ে আছেন শাকিব খান। তার আসল নাম মাসুদ রানা।
কিন্তু খানযুক্ত নামের অনেক অভিনেতাই দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আমিন খান, শাকিল খানসহ আরো অনেকে। এখন চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন পিতার অর্থায়নে নির্মিত ছবিগুলোর নায়ক শান্ত খান।
খানযুক্ত নাম থেকে এক শ্রেণীর নায়িকাও রেহাই পাননি। উল্লেখ করা যেতে পারে মৌ খানের নাম। চলচ্চিত্রে সর্বশেষ সংযোজিত হতে যাচ্ছেন ঝুমু খান। এ ব্যাপারে যুগান্তর চাকমা চাইনিজ বলেন, দেখবেন এই মেয়ে কখনো ব্যর্থ হবে না।
তিনি জানান, ঝুমু খান তার ছবি সত্যের ভাই নাই-তে আইটেম সং করবেন। চলচ্চিত্রের পেছনের দিকে তাকালে দেখা যায় আজিম, রহমান, রাজ্জাক, ওয়াসিম, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, ফারুক, জসিমদের সাফল্যের জন্য নামের শেষে খান যুক্ত করতে হয়নি। রওশন আরা, সুলতানা জামান, সুজাতা, শবনম, শাবানা, কবরী বা ববিতার নামের শেষেও খান যুক্ত করতে হয়নি। কেবল নাসিমা খান নামটি ছিল পারিবারিক। এখানে অতীত তারকাদের একটা খণ্ডচিত্রই কেবল তুলে ধরা হয়েছে। সুচরিতা, অঞ্জু ঘোষ, দিতি, চম্পা, শাবনাজ, মৌসুমী, শাবনূর, পপিদের ক্ষেত্রেও খানের প্রয়োজন হয়নি।
তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নেপথ্যে প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো কাহিনী আছে, শ্রম আছে, চেষ্টা আছে। এদের কেউই কেরিয়ারকে পুঁজি করে দ্রুত গাড়িবাড়ি করার জন্য ছুটে চলেননি। তারা ছুটেছেন কাজের পেছনে। হন্যে হয়ে সুযোগ ও একটি চরিত্রের পেছনে ছুটেছেন।
রাজ্জাক যেমন বলেছেন, ‘একজনকে অর্থের পেছনে ছুটতে হবে কেন? সময় হলে অর্থই তার পেছনে ছুটবে।’ নামে কিছু এসে যায় না, কর্মই আসল। এই পরামর্শই দিয়েছেন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওয়া রাজ্জাক।