ট্রাম্প-বাইডেন মার্কিনীদের কী চমক দেখাচ্ছেন?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। ট্রাম্প-বাইডেন শেষ পর্যন্ত মার্কিনীদের কী চমক দেখাবেন সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে গোটা দেশ। এবারের নির্বাচনের সব সমীকরণ উল্টে দিয়ে গতবারের মতো এবারও চমক দিতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাম্প। ৩ নভেম্বর চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে নিতে শেষ মুহূর্তের প্রচারে এখন তাই মরিয়া ট্রাম্প শিবির।
জনমত জরিপের ফলকে মিথ্যা প্রমাণ করে, পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে জয় ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে শেষ দুদিনের প্রচার শুরু করেছেন ট্রাম্প। রবিবার থেকে শুরু হওয়া প্রচারে রিপাবলিকান প্রার্থী সেইসব অঙ্গরাজ্যে সমাবেশ করেন, যেগুলোর ফলের ওপর নির্ভর করছে আরও চার বছর তার হোয়াইট হাউসে থাকা হবে নাকি জর্জ বুশের পর তিনিই হতে যাচ্ছেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি এক মেয়াদের বেশি টিকতে পারলেন না।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি মোকাবেলায় ট্রাম্পের অদক্ষতাকে প্রচারের মূল হাতিয়ার বানানো বাইডেন রবিবার সারাদিন পেনসিলভানিয়ায় র্যালি ও সমাবেশ করেন। শেষ দুইদিনের প্রচারে ট্রাম্পের মোট ১০টি সমাবেশে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। দিনে পাঁচটি করে। ক্ষমতাসীন এ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের লক্ষ্য, প্রচারে সাড়া ফেলে নির্বাচনের দিন মঙ্গলবার নিজের পক্ষে বিপুল জন রায় নেয়া।
মধ্যাঞ্চলীয় উইসকনসিন ও মিশিগান রাজ্যে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তবে অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলাইনায় দুজনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চারটি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই বিজয়ী হয়েছিলেন। এর যেকোনো একটিতে হারলে ট্রাম্পের জন্য ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এসব রাজ্যকে বলা হচ্ছে ব্যাটলগ্রাউন্ড। মূলত এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে উল্লিখিত এই চারটিসহ মোট আট রাজ্যে।
মঙ্গলবারের নির্বাচনের আগে জরিপে সারা দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন।
তবে মি. ট্রাম্পের সঙ্গে তার এই ব্যবধান বেশ কয়েকটি রাজ্যে খুব সামান্য। এসব রাজ্যের ভোটাররা যেকোনো প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারেন এবং মঙ্গলবারের নির্বাচনের ফলাফল গড়ে দিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সাড়ে আট কোটির বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সাড়ে পাঁচ কোটি ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন।