চীনে গণহারে মুসলিম নারীদের ধর্ষণের ঘটনায় বাইডেন প্রশাসনের ক্ষোভ, অস্ট্রেলিয়া জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়েছে
সিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর ও অন্য মুসলিম নারীদের আটক রেখে বন্দিশিবিরে পর্যায়ক্রমিক ধর্ষণ করা হয়। বুধবার প্রকাশিত বিবিসির এমন রিপোর্টের প্রেক্ষিতে চীনকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, জিনজিয়াংয়ের নৃগোষ্ঠী উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলমানদের জন্য অন্তর্বতী শিবিরগুলিতে নারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ধর্ষণ ও নারীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের ঘটনাবলী সহ প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য সহ আমরা রিপোর্টগুলি দ্বারা গভীরভাবে বিরক্ত হয়েছি।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী মেরিস পেইনও বিবিসির রিপোর্টের ভিত্তিতে বলেন, জাতিসংঘকে চীনে প্রবেশাধিকার দিতে হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচলেট সহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরকে খুব শিগগিরই চীনের ওইসব উপদ্রুত এলাকাগুলো সফর করে নির্যাতিতদের পক্ষে দাড়ানো উচিত।
তবে বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভুয়া রিপোর্ট তীব্রভাবে অস্বীকার করেছে। বিবিসির রিপোর্টে বলা হয়, প্রায় ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমদের কথিত ‘পুনঃশিক্ষণ’ শিবিরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেখানে মুসলিম নারীরা ধারাবাহিক ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তুরসুনাই জিয়াউদুন নামে এক নারী শিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে নয় মাস ছিলেন। গতবছর সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শিনজিয়াং ছেড়ে পালিয়ে প্রথমে কাজাখস্তানে ছিলেন। এরপর চলে যান যুক্তরাষ্ট্র এবং এখন সেখানেই আছেন।