কৌশলগত পরিকল্পনায় বাইডেন প্রশাসনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ
এশিয়ায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত কৌশলগত পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছে দেশটির নতুন প্রশাসন।
ঢাকার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশ যেন খাদ্য উৎপাদন, যোগাযোগ ব্যাবস্থায় সাফল্য, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও সেনা দক্ষতা বৃদ্ধিতে আরো এগিয়ে যেতে পারে সেই সহযোগিতা করতে চায় দেশটি।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের টেলিফোন আলাপে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করার উপায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সাধারণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে তিন দিনের সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন ড. মোমেন। মঙ্গলবার চেয়ারম্যান অব দি সেনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির বৈঠকে যোগ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশটির সঙ্গে যদি আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত করতে পারি, দিজ ইজ এ উইন-উইন। বাংলাদেশেরও এখন অনেক কিছু অফার করার সুযোগ আছে।
এ সফরে তিনি বাংলাদেশ প্রসংঙ্গে নেতিবাচক প্রচারণা নিয়ে দেশটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকা দেবেন।
গত ১৪ অক্টোবর ঢাকা সফরের সময় তৎকালীন মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান বলেছিলেন, নয়াদিল্লির চোখে বাংলাদেশকে দেখেনা যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক চায় দেশটি।
বিগানের ঢাকার এনগেজমেন্টের মধ্য দিয়ে অবাধ, মুক্ত, সমন্বিত, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওন প্রতিষ্ঠার যে প্রয়াস, যা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কমন ভিশন, তা এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশ উভয় দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে বৈঠকটিকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে।
সম্প্রতি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।