করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে খাদ্যসংকটের আশংকা নাকচ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, মজুত পর্যাপ্ত
দেশে বন্যা ও করোনার কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে রিলিফ দিতে হয়েছে। এ কারণে খাদ্যপণ্যের মজুত কমে গেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়তি, বাজারে স্বস্তি নেই। পেঁয়াজের পর আলু নাকাল করে দিয়েছে মানুষকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের এখনই নজর দেয়া দরকার খাদ্য মজুত বাড়ানোর দিকে।
পরিসংখ্যান মতে, খাদ্য মন্ত্রণালয় গেলো বোরো মৌসুমে ৮ লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলো। কিনতে পেরেছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ টন।
একই সময়ে সাড়ে ১১ লাখ চাল সংগ্রহের টার্গেট ছিলো, কেনা হয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৯০ টন সেদ্ধ ও ৯৯ হাজার ১২৩ টিন আতপ চাল।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যসংকট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ২ কোটি ২০ লাখ টন বোরো এবং ১ কোটি ৫৩ লাখ টন আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৩৪ লাখ টনের মতো আউশ ফসল।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ ভাগ অর্জিত হয়েছে। এই মজুত দিয়ে যে কোনও দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব।
সাবেক খাদ্য সচিব আব্দুল লতিফ বলেন, এ মুহুর্তে ১০/১৫ লাখ চাল আমদানি করে ফেলা উচিত। আসন্ন সংকট সামাল দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ তাই করছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ইউরোপে লকডাউন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যদিও ভালো থাকেও, মনে রাখতে হবে, সব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কিন্তু এক রকম না।
অনেকের কাজ নেই, অনেকে চাকুরি হারিয়েছেন। যারা চাকুরিতে ফিরেছে, তাদেরও আয় আগের চেয়ে কমেছে। সুতরাং করোনার সেকেন্ড ওয়েভ জোরালোভাবে এলে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে।