করোনার টিকা পাওয়া যাবে, চুক্তির ওপর আস্থা রাখছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার ভ্যাকসিন আমাদের হাতে আছে।
তিনি বলেন, সেরামের যে চুক্তি হয়েছে তা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, তা মানার একটা বাধ্যবাধকতা আছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি অবহিত নয়, আপনার যেমন শুনেছেন, আমরাও তেমনটাই শুনতে পেরেছি। এরপর আমাদের ফরেন মিনিস্ট্রি, তাদের হাইকমিশনে, ফরেন মিনিস্ট্রিতে আলাপ করেছে। তারা আশস্ত করেছে, চুক্তি ব্যাহত হবে না।
তিনি বলেন, ভারত সরকার এমার্জেন্সি ভিত্তিতে তাদের দেশে প্রয়োগ করবে। এজন্য তারা আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখবে বলে শুনেছি। ভ্যাকসিনের জন্য যে টাকা দেবার কথা ছিল তা আজ বা আগামীকালের মধ্যে দিয়ে দেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসবে তা আর এখন বলা যাচ্ছে না বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে বৈঠকে বসেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটকে আগামী কয়েক মাসের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের রফতানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
গত ৫ নভেম্বর অক্সফোর্ড উৎপাদিত ‘কোভিডশিল্ড’ ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ পেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এই উদ্যোগের আওতায় প্রথম ধাপের ছয় মাসের প্রতি মাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা ছিল সিরামের।